ভাতের ক্যালরি কমাবেন যেভাবে

Dating App

Rice Nice Pictureভাত বেশি খাওয়ার সঙ্গে রয়েছে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক। ভাত থেকে জমে মেদ। কারণ ভাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। কিন্তু ভাত ছাড়া আমাদের যেন চলেই না। ভাতই যদি খেতে হবে তাহলে ক্যালরিটা একটু কমিয়ে খেলে কেমন হয়? কী ভাবছেন- সেটা কী করে সম্ভব?

শ্রীলংকার কলেজ অফ কেমিক্যাল সায়েন্সের এক ছাত্র এবং তার শিক্ষক আবিষ্কার করেছেন ভাত রান্না করার এক অসাধারণ উপায় যাতে মোটামুটি ৫০ শতাংশ ক্যালোরি কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্যালরি কমানোর উপায়টি খুব একটা কঠিন নয়।

ভাত রান্না করার জন্য আমরা পানি ফুটিয়ে নেই। এই ফুটন্ত পানিতে চাল দেয়ার ঠিক আগে কিছুটা নারিকেল তেল দিতে হবে। চালের পরিমানের মোটামুটি ৩ শতাংশ নারিকেল তেল দেয়া হয়। এরপর সাধারণ নিয়মে ভাত রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ১২ ঘন্টা। ব্যাস, এটুকুই কাজ। কমে যাবে ভাতের ক্যালরি।

কিন্তু এই উপায়ে ক্যালোরি কমে কীভাবে? ব্যাপারটা বোঝার জন্য স্টার্চের ব্যাপারে একটু জ্ঞান প্রয়োজন আপনার। কিছু স্টার্চ খুব সহজে হজম হয়ে যায় আর আমরা যথেষ্ট কাজ না করলে আমাদের শরীরে ফ্যাট হয়ে জমে যায়। কিন্তু কিছু স্টার্চ সহজে হজম হয় না আর এদের ক্যালরিও তাই কম।

চালভাজায় থাকা বেশিরভাগ স্টার্চ সহজে হজম হয় না। কিন্তু রান্না করার পর সেই চাল যখন ভাতে রূপান্তরিত হয় তখন তার মাঝে থাকা বেশিরভাগ স্টার্চ সহজে হজম হয়ে যায়। ভাতকে যদি এমনভাবে রান্না করা যেত যে তাতে এই সহজে হজম হওয়া স্টার্চের পরিমান কম হবে, তবে ভাতের ক্যালরি অনেক কমিয়ে ফেলা যায়।

এই ধারণা নিয়েই গবেষকেরা অগ্রসর হন এবং দেখেন, ফুটন্ত পানিতে চাল দেয়ার আগে ভোজ্য তেল যোগ করা এবং রান্নার পরপরই একে শীতল করে ফেলায় এর ক্যালরি কমে আসে প্রায় অর্ধেক।

তারা নারিকেল তেল ব্যবহার করেন কারণ শ্রীলংকায় তা সর্বত্রই রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই তেল চালের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এর ক্যালোরি কম রাখে। ফ্রিজে রেখে শীতল করার পর একে আবার গরম করে খেলেও ক্যালরি বৃদ্ধি পায় না।

Dating App

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *